অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ বা সেনা সংগ্রহ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বেসামরিক নাগরিকদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিতে থাকে পুতিন সরকার।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ সম্পর্কিত সব প্রক্রিয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ও এরপরে এ ধরনের জরুরি ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা আর নেই।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত প্রায় তিন লাখ সেনা মজুত থাকবে ও অভিজ্ঞতা নেওয়ার পাশাপাশি এসব সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সব চেয়ে বড় সেনা সংহতি পরিচালনা করে রাশিয়া। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধিতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেন পুতিন।
অনেকে বলছেন, রাশিয়ার এমন কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, যুদ্ধ সামাল দিতে বেশ ভালোভাবেই ভুগতে হচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, সেটিকে যুদ্ধ না বলে বিশেষ সেনা অভিযান বলে দাবি করছেন তিনি।
সে সময় পুতিন বলেন, রাশিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তবে, তার ওই ঘোষণার পরপরই রাশিয়াজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভ সমাবেশ করায় অনেককেই গ্রেফতার করে রুশ প্রশাসন।
সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের আইন প্রণয়নের পর ২৪ সেপ্টেম্বর পুতিন একটি ডিক্রিতে সই করেন। সেখানে বলা হয়, কোনো সেনা আত্মসমর্পণ করলে, সামরিক বাহিনী ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
দেশটির সামরিক বাহিনীতে এক বছর চাকরি করার জন্য সই করা যেকোনো বিদেশি নাগরিককে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার আদেশেও সই করেন পুতিন।
প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর অনেক রুশ তরুণ দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। জর্জিয়ার সীমান্তে রুশ নাগরিকদের ৩০ কিমি (১৮ মাইল) এরও বেশি লম্বা গাড়ির সারি দেখা যায়। ফিনল্যান্ডেও প্রবেশ করেন অনেক রাশিয়ান। সূত্র: আল জাজিরা
Leave a Reply